আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ব্রাজিলিয়ান পাসপোর্ট যোগাড় করেছিলেন কিম জং উন৷ এমনকি একই কাজ করেছিলেন তাঁর বাবা প্রয়াত কিম জং ইল-ও। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচজন নিরাপত্তা আধিকারিককে উদ্ধৃত করে চ্যানেল নিউজ এশিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৯০ এর দশকে ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করে তারা ভিসার জন্য আবেদন করেন।
ওই ভুয়ো পাসপোর্টে উত্তর কোরিয়ার বর্তমান নেতার নাম লেখা ছিল ‘জোসেফ পোয়াগ’। আর তার বাবার নাম লেখা ছিল ‘ইজং চোয়’। ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করে কমপক্ষে দুটি দেশে ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন তারা।
আগেও কিমের পরিবার ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করে ভ্রমণ করেছে বলে জানা গিয়েছে৷ কিন্তু ব্রাজিলিয়ান পাসপোর্টের ওই ফটোকপি, এর আগে কখনও প্রকাশ করা হয়নি। একজন নিরাপত্তা আধিকারিক জানিয়েছেন, তারা ব্রাজিলিয়ান পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশি দূতাবাস থেকে ভিসা পাওয়ার চেষ্টা করে।
তবে উত্তর কোরিয়ায় ব্রাজিল দূতাবাস এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চায়নি৷ এদিকে ব্রাজিলের বিদেশ মন্ত্রক এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রাজিলের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই দুটি পাসপোর্টের কাগজপত্র বৈধ ছিল। তবে সেগুলো কনস্যুলেটে ছবি ছাড়া পাঠানো হয়েছিল। যদিও ওই আবেদনের ভিত্তিতে তারা ভিসা পেয়েছিলেন কিনা সেটি এখনও অস্পষ্ট। কিন্তু সূত্রের খবর, ব্রাজিল, জাপান ও হংকং ভ্রমণে ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
এর আগে ২০১১ সালে জাপানি পত্রিকা ইয়োমিউরি শিমবুন জানায়, ১৯৯১ সালের ব্রাজিলিয়ান পাসপোর্ট ব্যবহার করে শিশু কিম টোকিও ভ্রমণ করেন। কিন্তু টোকিও ভ্রমণের ঘটনা ঘটে ওই ব্রাজিলিয়ান পাসপোর্টে যে ইস্যু তারিখ রয়েছে সেটির আগেই। কিম জং উন না জোসেফ পোয়াগ? ওই পাসপোর্ট দুটিতে ব্রাজিল দূতাবাসের সিল রয়েছে। যেখানে পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ উল্লেখ করা হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ওই দুটি ছবি কিম ও তার বাবারই ছিল।
মতিহার বার্তা ডট কম ২৮ জুলাই ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.